ব‍্যাঙ্ক ডাকাতির ২৪ ঘন্টার মধ‍্যে দুস্কৃতিদের ধরলো চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট

6th June 2020 হুগলী
ব‍্যাঙ্ক ডাকাতির ২৪ ঘন্টার মধ‍্যে দুস্কৃতিদের ধরলো চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : ২৪ ঘন্টার মধ্যে উত্তরপাড়া ব্যাঙ্ক ডাকাতির কিনারা করল চন্দননগর পুলিশ!বামাল আগ্নেয়অস্ত্র, টাকা  সমেত ধরা পড়ল ডাকাত দল। গতকাল উত্তরপাড়া রাজেন্দ্র এভিনিউ এর একটি রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাঙ্কে ভর দুপুরে ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।ডাকাতির পর ব্যাপক তল্লাসী শুরু করে চন্দননগর পুলিশ।১৭ লাখ ২৮ হাজার ৩২৫ টাকা লুট করে পালাবার সময় কয়েকটা টাকার বান্ডিল রাস্তায় ফেলে যায় ডাকাতরা।তদন্তে নেমে সোর্স ইনফরমেশান ও সিসিটিভি ফুটেজের সাহায্যে দুষ্কৃতিদের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। প্রিতম ঘোষ ওরফে বাবাই,ওরফে বাবু ওরফে বাবু ওরফে দেবজিৎ নামে মূল অভিযুক্তকে ধরে পুলিশ।পেট্রল পাম্প ডাকাতির ঘটনায় ২০১৪ সালে ওড়িশায় ধরা পরে জেল হয় প্রিতমের। চৌদহা জেল থেকে ফেরার হয় সে ।দশ বারোটা ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায়। সোনার দোকানে ডাকাতি,পেট্রোল পাম্প ডাকাতি ব্যাঙ্ক  ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ডাকাতির পর ভদ্রকালীতে মোরের পিছনে জঙ্গলে টাকা ভাগ করতে জরো হয় দুষ্কৃতিরা।সঞ্জয় পাশেয়ান(ছোটু) তাপস দাস(গোপাল),সঞ্জিব পাশোয়ান ছিলো সেখানে, গ্রেফতারের পর তাদের থেকে  প্রিতম ওরফে দেবজিৎ  এর নাম জানতে পারে পুলিশ।চুঁচু্ড়া রবীন্দ্রনগরে প্রিতমের শ্বশুরবাড়ি পাশের একটি বাড়ি থেকে তাকে ধরা হয়।প্রিতমের কাছ থেকে ১০ লাখ ৮ হাজার ৩৫০ টাকা উদ্ধার হয়।। লকডাউনের সময় বিহারের বসেরা গ্রাম থেকে সাইকেল নিয়ে আসে বৃহস্পতিবার।উত্তরপাড়ায় এক সময় থাকত প্রিতম,ব্যাঙ্কে দুবার গিয়ে রেইকি করে।বাস কনডাক্টর সঞ্জয় পাশোয়ান,তাপস রঙ মিস্ত্রী,সঞ্জিব পাশোয়ান ড্রাইভার,এরা তিনজনই প্রিতমের পূর্ব পরিচিত।ধৃতদের কাছ থেকে একটি বাইক,একটি ফোর হুইলার পাওয়া গেছে যেটা ডাকাতিতে ব্যবহার করা হয়।একটি ওয়ান শাটার উদ্ধার হয়।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।